এন.এইচ নুয়েল,স্টাফ রিপোর্টার : লোকে লোকারণ্য জাফলং। শুধু পিকনিক স্পট নয়। আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পর্যটকবাহী যানবাহনের সারি। তীব্র যানযট। উপায়ান্তর না দেখে পায়ে হেঁটেই জাফলং জিরো পয়েন্ট অভিমুখে পর্যটকদের পদচারণায়। ভ্রমণপ্রেয়সীদের পদচারণা মুখরিত জাফলংয়ে বেড়াতে আসা পর্যটক দর্শনার্থীদের উপস্থিতি নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতায় প্রশাসন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, স্কাউট, রোভার স্কাউটসসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও। এ চিত্র সিলেটের প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিকে কেন্দ্র করেই পর্যটক দর্শনার্থীদের পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠে সিলেটের জাফলংসহ আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। কাকডাকা ভোর থেকে হাজারো পর্যটকের আগমনে কর্মচাঞ্চলতা দেখা গেছে পর্যটক সংশ্লিষ্টদের মাঝে। দিনব্যাপী পর্যটকের সরব উপস্থিতিতে খুশি এখানকার পর্যটক রিলেটেড ব্যবসায়ীরাও।
ভারতের মেঘালয়ের বিস্তৃত সবুজ টিলা, পাহাড়, নুড়ি পাথর আর, পিয়াইনের বহমান স্বচ্ছ জলরাশি আর পাহাড় বেয়ে পড়া ঝরনার শা শা শব্দের পানি পড়ার দৃশ্য দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঈদের দিন থেকেই ভ্রমণে আসেন পর্যটকরা। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে জাফলংয়ের বেশির ভাগ হোটেল-মোটেলের সিংহভাগ রুমই অনলাইনে বুকিং হয়।
মঙ্গলবার ঈদের দ্বিতীয় দিন প্রায় লাখো পর্যটক সিলেটের গোয়াইনঘাটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণে এসেছেন। এর মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র প্রকৃতি কন্যা জাফলংয়ে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ঘুরতে এসেছেন। এ ছাড়াও প্রকৃতির অপ্সরাখ্যাত বিছনাকান্দি ও জলারবন রাতারগুলেও ছিল পর্যটকদের ভিড়।
সরেজমিন জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই দলবেঁধে পর্যটকরা ঘুরতে বের হয়েছেন। মেঘালয়ের পাহাড়, পাথর আর স্বচ্ছ জলের সমাহার দেখে যেন তারা মুগ্ধ হন। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরছেন আর ছবি তুলছেন। কেউ কেউ নৌকা নিয়ে খাসিয়া পল্লী আর চা-বাগানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন।
এ ছাড়াও ঠাঁই ছিল না এখানকার হোটেল-মোটেলগুলোতে। রেস্টুরেন্টগুলোতেও তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়।
দীর্ঘদিন পর বেচাকেনা ভালো হওয়ায় খুশিতে রয়েছেন এখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
Leave a Reply