September 9, 2025, 10:39 pm

বিজ্ঞপ্তি :::
Welcome To Our Website...
শিরোনাম ::
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনামাছ অবমুক্তকরণ দক্ষিণ সুরমায় আইন-শৃংখলা কমিটির নিয়মিত সভা মাদক ও জুয়া থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে ২৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির দোয়া মাহফিল সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান ফয়েজ চার স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার বন্দরবাজার হোটেল থেকে ২ তরুণীর সাথে ৮ পুরুষ আ ট ক সিলেটে ৬ মাসে জ ব্দ ২০০ কোটি টাকার চোরাই পণ্য অ্যাড. আব্দুল গফফারের মৃ ত্যু তে বিএনপি নেতা আসকির আলীর শোক করোনা : নতুন আক্রান্ত ১৯ জন, মৃত্যু ৩ জনের সাবেক সিইসি নুরুল হুদা ৪ দিনের রিমান্ডে
পলাশবাড়ীতে খরায় চৌচির জমি, বিপাকে আমন চাষিরা

পলাশবাড়ীতে খরায় চৌচির জমি, বিপাকে আমন চাষিরা

ছাদেকুল ইাসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের নানা জায়গার যখন টানা বর্ষণের কারণে বিড়ম্বনা পোহাচ্ছে, তখন গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় বিরাজ করছে তীব্র খরা। পানির অভাবে ফেটে চৌচির জমির মাটি।

আশানুরূপ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষকেরা জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারছে না। এখনই আমন ধান রোপণ না করলে তেমন একটা ফলন পাওয়া যাবে না, তাই জমিতে সেচ দিয়ে অনেকে আমনের চারা রোপণ করছেন। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে অবধারিতভাবে।

বর্ষা মওসুমের শুরুতে সামান্য বৃষ্টিপাত হলে অনেক চাষি জমিতে আমনের চারা রোপণ শুরু করেন। কিন্তু তারপর আর কোনো বৃষ্টিপাত নেই উপজেলার কোথাও। এক মাস ধরে এখানে বৃষ্টিপাত নেই বললেই চলে।

এদিকে গত তিন-চার দিন ধরে নিম্নচাপের প্রভাবে সামান্য বৃষ্টি হলেও তা আমনের জমিতে ধান রোপণের মতো যথেষ্ট নয়। তাই চাষিরা জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না।

ইতোমধ্যে কেউ কেউ শ্যালো মেশিন বা গভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচ দিয়ে জমিতে ধান রোপণ করলেও ক্ষেত বাঁচিয়ে রাখতে প্রায় প্রতিদিনই জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। আর যারা সেচ দিতে পারছে না তাদের ধানের ক্ষেত ফেঁটে চৌচির হয়ে পড়েছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে হু হু করে।

মহেশপুর গ্রামের কৃষক জহির উদ্দীন জানান, বর্তমান বর্ষা মৌসুম চললেও পলাশবাড়ীতে বৃষ্টিপাত নেই। বর্ষার পরিবর্তে এখানে প্রচণ্ড উত্তাপ ও খরা বিরাজ করছে।

শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝির মধ্যে রোপা আমন চারা রোপণ করতে না পারলে ফলন পাওয়া যাবে না বলে জানান কৃষক রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোনো উপায় না পেয়ে সেচ দিয়ে জমিতে ধান লাগাতে বাধ্য হচ্ছি। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের মতে, প্রায় ৪০ ভাগ জমিতে আমন চারা রোপণ করা হয়েছে। কিন্তু কৃষকদের মতে ,বৃষ্টিপাতের অভাবে জেলার বেশির ভাগ আমনের জমি এ নো অনাবাদি পড়ে রয়েছে। এতে চলতি বছর জেলার আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে বৃষ্টিপাতের অভাবে খালবিল পানিশূন্য থাকায় পাটচাষীরা পাট পচানো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। পাট কেটে তা ভাড়াগাড়িতে করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন পানিতে পচানোর জন্য। কেউ কেউ সেলো মেশিন দিয়ে খাল-বিলে পানি সেচ দিয়ে পাট পচাচ্ছেন। এতে পাট উৎপাদন খরচ বেড়ে চলেছে।

খরা মোকাবেলায় সরকারিভাবে বেশকিছু সেচযন্ত্র ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-২ এর আওতাধীন গভীর নলকূপ ইতোমধ্যে চালু হয়েছে।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানান, বেশ কিছুদিন ধরে এখানে কোনো বৃষ্টিপাত নেই। তাপমাত্রাও সামান্য বেড়েছে। এখানে যে খরা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা মোকাবেলায় কৃষকদের সেচযন্ত্র ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

উপপরিচালক আশা প্রকাশ করে বলেন, খুব শিগগির বৃষ্টিপাত হলেই কৃষকদের সে সমস্যা অনায়াসে সমাধান হয়ে যাবে। আর বৃষ্টিপাত না হলে ওই সব জমিতে রবিফসল আবাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


Comments are closed.




© All rights reserved © sylheteralo24.com
sylheteralo24.com