সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি আরও বেড়েছে। মোট ৪টি পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারা। সেগুলো হচ্ছে, কানাইঘাট, আমলসীদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ। সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে থাকলেও সময় সময় বাড়ছে।
রবিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় পানি উন্নয়ন বোার্ড এসব তথ্য জানায়।
বোর্ডের দেয়া তথ্যানুযায়ী বিকাল ৩টায় সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো, যা শনিবার সন্ধ্যায় বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।
একই সময়ে কুশিয়ারা জকিগঞ্জের অমলসীদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা শনিবার সন্ধ্যায় বিপৎসীমার ১৮৭ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।
সিলেট পয়েন্টে সুরমা বিকেল ৩টায় বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও এ পয়েন্টেও পানি দ্রুত বাড়ছে। সকাল ৯টায় এ পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে।
কুশিয়ারা বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টেও বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে, বিকেল ৩টায় তার প্রবাহ ছিল বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপরে।
আর ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা প্রবাহিত হচ্ছিল বিপৎসীমার শুণ্য ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে যা সকাল ৯টায় প্রবাহিত হচ্ছিল বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে।
এছাড়াও অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছিল।
এদিকে আবার সিলেটে একদিনে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে সিলেট আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানিয়েছেন এ মৌসুমে ২৪ ঘণ্টার হিসেবে এটাই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এরপর সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত আরও প্রায় ১৪ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি ঝরেছে।
বৃষ্টি ঝরছে ভারতের উজানেও। বিশেষ করে ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচর, মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিসহ বরাক মোহনার অন্যান্য অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর প্রভাবে নদ-নদীর পানি বাড়তেই থাকবে।
Leave a Reply